যারা শিক্ষকতার চাকরির স্বপ্ন দেখছে তাদের জন্য এসেছে একটি সুবর্ণ সুযোগ। পশ্চিমবঙ্গের সরকারী স্কুলগুলিতে খুব শীঘ্রই নিয়োগ হতে চলেছে। ৭ মার্চ একটি সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হওয়া খবর থেকে জানা যায় প্রায় ৭০০০ নিয়োগ হতে চলেছে রাজ্যের স্কুলগুলিতে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আগামী ১০ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে স্কুল গুলিতে স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। ফ্রেশার্স এবং কর্মরত সকলের জন্যই এই চাকরিতে যোগদানের সুযোগ রয়েছে এমন কথাই প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদপত্রে।
স্পেশাল এডুকেটর/ স্পেশাল এডুকেশন টিচার (Special Education Teacher) হলেন সেই শিক্ষক যারা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য শিক্ষা প্রদান করেন। এই শিশুদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক বা আচরণগত সমস্যা থাকতে পারে, যার কারণে তারা সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। স্পেশাল এডুকেশন টিচার তাদের বিভিন্ন প্রয়োজন এবং সক্ষমতা অনুযায়ী উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে তাদের শিখন প্রক্রিয়া সহায়তা করেন।
স্পেশাল এডুকেশন টিচারের কাজ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা যাক:
স্পেশাল এডুকেশন টিচার প্রথমত শিশুর শারীরিক, মানসিক বা শিক্ষা সম্পর্কিত সমস্যা বা চাহিদা চিহ্নিত করেন। এটি করার জন্য তারা সাধারণত শিশুর জন্য বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে মূল্যায়ন করেন এবং অন্যান্য শিক্ষক বা পেশাদারদের সাথে আলোচনা করেন। এর মাধ্যমে তারা শিশুটির শক্তি, দুর্বলতা, এবং প্রাথমিক চাহিদাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পান।
স্পেশাল এডুকেশন টিচার শিশুর চাহিদার ভিত্তিতে একটি বিশেষ পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করেন। এই পরিকল্পনায় শিশুর জন্য উপযুক্ত শিক্ষার কৌশল নির্ধারণ করা হয়, যাতে তার শিখন কার্যক্রম সহজ ও সফল হয়। এটি বিশেষভাবে তার আচরণগত সমস্যা, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বা মানসিক সমস্যার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ:
স্পেশাল এডুকেশন টিচার শিশুদের জন্য এমন একটি সুরক্ষিত, সহায়ক এবং উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে তারা নিজেদের সুবিধামত শিখতে পারে। এই পরিবেশে ত্রুটিপূর্ণ আচরণ বা সামাজিক সংকট কমানোর জন্য বিশেষ কৌশল এবং সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করা হয়। যেমন:
স্পেশাল এডুকেশন টিচার নিয়মিতভাবে শিশুদের শিখন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের কাজের গতি এবং দক্ষতা অনুযায়ী পাঠের কৌশল পরিবর্তন করেন। তারা প্রয়োজনে থেরাপি, পাঠ সহায়িকা, শব্দ চিনতে শেখানো, অথবা গণনা শিক্ষা ইত্যাদি দিক থেকে সহায়তা প্রদান করেন।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের অনেক সময় আচরণগত বা সামাজিক সমস্যা হতে পারে। স্পেশাল এডুকেশন টিচার শিশুদের মধ্যে অনুভূতি এবং সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেন। তারা শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও কাজ করেন।
স্পেশাল এডুকেশন টিচার শিশুদের অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিতভাবে অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করেন। তারা অভিভাবকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন, যাতে তারা বাড়িতে শিশুটির শিক্ষা প্রক্রিয়ায় আরও সাহায্য করতে পারেন। এছাড়া, তারা স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে শিশুদের সর্বোত্তম সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করেন।
স্পেশাল এডুকেশন টিচার নতুন নতুন প্রযুক্তি ও শিক্ষণ কৌশল ব্যবহার করে শিশুদের আরও উন্নত ফলাফল পেতে সাহায্য করেন। বিভিন্ন ডিজিটাল টুলস, অ্যাপ্লিকেশন, এবং সফটওয়্যার যেমন শব্দ বা ছবি বিশ্লেষণ, ভিডিও পাঠ, বা অডিও রেকর্ডিং ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যক্রম আরও আগ্রহজনক এবং কার্যকরী করা হয়।
স্পেশাল এডুকেশন টিচার শিশুদের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে মূল্যায়ন করেন এবং তাদের শেখার দক্ষতার উন্নতি নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। প্রয়োজনে পরবর্তীতে পুনর্বহাল পরিকল্পনা তৈরি করা হয় যাতে শিশু আরও উন্নতি করতে পারে।
এছাড়াও, তারা শিশুর অনুভূতি, আচরণ এবং সামাজিক দক্ষতা উন্নয়নের জন্যও কাজ করে থাকেন।
জেনে নিন পদে নিয়োগের বিষয়ে কিছু বিশেষত্ব
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সংক্রান্ত কিছু তথ্য
নিয়োগ সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য
দেখে নিন আলোচ্য চাকরির ক্ষেত্রে কি কি যোগ্যতার মানদণ্ড রয়েছে
শিক্ষাগত যোগ্যতা
বয়সসীমা
জেনারেল প্রার্থীদের জন্য- ১৮-৪০ বছর
OBC প্রার্থীদের জন্য- ১৮-৪৩ বছর
SC/ST প্রার্থীদের জন্য- ১৮-৪৫ বছর
স্পেশাল এডুকেটরের ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো শুরু হচ্ছে ৩৮০০০ টাকা থেকে।
এই চাকরি সংক্রান্ত বিস্তারিত আপডেট পেতে আমাদের ব্লগ ওয়েবসাইট blog.bssei.in এর সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুক্ত থাকতে হবে।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা Competitive Exam আজকাল আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ...
বছরের শুরুতেই একগুচ্ছ খুশির খবর উপহার দিচ্ছে সরকার। চাকরি প্রার্থীদের...
WBPSC Clerkship 2024-25-এর ছোটো নোটিফিকেশন প্রকাশিত হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক...
পশ্চিমবঙ্গ সরকার বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা নিয়ে থাকে।...
RRB Group D লেভেল ১ পরীক্ষা ভারতীয় রেলওয়ে রিক্রুট্মেন্ট বোর্ড...