গত ০৩.০৪.২০২৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের বিচারে WBSSC SLST পরীক্ষা দ্বারা ২০১৬ সালে নিয়োজিত ২৬,০০০ স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ও কমিশনের পক্ষ থেকে রিভিউ পিটিশন দায়ের করার কথা বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে গত ১৭.০৪.২০২৫ তারিখে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে এক আবেদন পত্র ফাইল করেছিল , তা সুপ্রিম কোর্ট মঞ্জুর করেছিল। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলাটিকে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। গত শনিবার রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন শীর্ষ আদালতকে পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি করেছে। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী ৮ মে ওই মামলার শুনানি হওয়ার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। ওই দিন মামলাটি সম্পর্কে শুনবে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। চাকরি বাতিলের রায় ঘোষণার এক মাসের মাথায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করল WBSSC SLST। এর আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসএসসি জানিয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করে আগের রায় পরিবর্তন বা নতুন রায়ের আবেদন জানানো হবে। সেইমতো তারা আবেদন করেছে। এই রিভিউ পিটিশনের ডাইরি নম্বর – ২৪১৯৯/২০২৫, অর্থাৎ আগের মামলা থেকে পৃথক ভাবে এই পিটিশন ফাইল করা হয়। এই পিটিশন দায়ের করা হয় West Bengal Central School Service Commission এর পক্ষ থেকে। যেখানে পিটিশনার হলেন Rina Karmakar এবং পিটিশনারের পক্ষ থেকে উকিল হলেন কুনাল চ্যাটার্জী।
এর পূর্বেও ২৬,০০০ স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিলের রায়ের বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাদের আবেদন ছিল, এত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে। এমনকি অনেক স্কুলও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক শূন্য হয়ে যাবে। ফলে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। গত ১৭ এপ্রিল পর্ষদের ওই আবেদন মেনে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। শর্তসাপেক্ষে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, দাগি অযোগ্যদের বাদ রেখে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকেরা স্কুলে যেতে পারবেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে। তবে ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। ওই নির্দেশ মোতাবেক চলতি মাসেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা। তারই মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় রাজ্য।
আদৌ কি এই মামলার সুফল পাওয়া যাবে?
বাংলার একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদপত্র থেকে জানা যায় এই বিষয় সম্পর্কে কমিশন নিজেও বেশ হতাশ। সেই হতাশা নিয়েই নবান্ন থেকে রিভিউ পিটিশনের তোড়জোড় শুরু করা হয়েছিল। আইনজীবি ফিরদৌস শামিম বলেন, “ যে কারণে আদালত পুরো প্যানেল বাতিল করেছে, সেই ভিত্তি এতটাই শক্তিশালী যে পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই।”
প্র. WBSSC SLST রিভিউ পিটিশন কী?
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ২৫,৭৫৩ টি বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকার ও WBSSC সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছে
প্র. WBSSC স্লিস্ট রিভিউ পিটিশনের মূল দাবি কী?
কমিশন দাবি করেছে যে, “দাগী” ও “অদাগী” প্রার্থীদের আলাদা করে দেখানো সম্ভব ছিল, তাই পুরো নিয়োগ প্যানেল বাতিল করা উচিত হয়নি।
প্র. সুপ্রিম কোর্টের আগের রায় কী ছিল?
সুপ্রিম কোর্ট ৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে পুরো নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে এবং “দাগী” প্রার্থীদের বেতন ফেরত দিতে নির্দেশ দেয়।
প্র. রিভিউ পিটিশনের শুনানি কবে হবে?
রিভিউ পিটিশনের শুনানি ৮ মে ২০২৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট অনুষ্ঠিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বছরের শুরুতেই একগুচ্ছ খুশির খবর উপহার দিচ্ছে সরকার। চাকরি প্রার্থীদের...
WBPSC Clerkship 2024-25-এর ছোটো নোটিফিকেশন প্রকাশিত হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক...
পশ্চিমবঙ্গ সরকার বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা নিয়ে থাকে।...
RRB Group D লেভেল ১ পরীক্ষা ভারতীয় রেলওয়ে রিক্রুট্মেন্ট বোর্ড...