আপনি কি UGC NET প্রার্থী? আসন্ন NET পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কিন্তু কোনো কোচিং ক্লাসে নাম লেখাবেন নাকি স্বাধীনভাবে পড়াশোনা করবেন সে বিষয়ে এখনও অনিশ্চিত? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেল বা নিবন্ধটি আসন্ন নেট পরীক্ষা সম্পর্কে আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
UGC NET হল সর্বভারতীয় স্তরের একটি সম্মানীয় পরীক্ষা। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি দক্ষতার সঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষাটিকে পরিচালনা করে। পরীক্ষাটির দ্বারা জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ (JRF) এবং সহকারী অধ্যাপক পদের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীদের যোগ্যতা মূল্যায়ন করা হয়।
সকলেই প্রায় এই বিষয়ে অবগত যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) গবেষক, সহকারী অধ্যাপক হতে বা অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে তাদের কর্মজীবন অনুসরণ করতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য বছরে দুবার NET পরীক্ষা পরিচালনা করে। এই পরীক্ষাটিকে ভারতীয় একাডেমিক ক্ষেত্রের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরীক্ষা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
প্রতি বছর প্রচুর প্রার্থীরা নিজেদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য এই পরীক্ষায় বসেন, তবে গড়ে 7-11% পরীক্ষার্থী পরীক্ষাটিতে পাস করতে সক্ষম হন। এটা কি খুব কঠিন শোনাচ্ছে আপনার কাছে? তবে আমরা নিশ্চিতভাবে আশ্বস্ত করতে পারি যে সঠিক কৌশলের মাধ্যমে যেকোনো প্রার্থী এই বিপুল বিস্তর সিলেবাসকে অল্প সময়ের মধ্যেই আয়ত্তে আনতে পারে। আরও পড়ুন– UGC NET পরীক্ষায় প্রথম প্রচেষ্টাতেই সাফল্য কীভাবে পাবেন রইল তারই বিস্তারিত আলোচনা
UGC NET-এর জন্য কোচিং ক্লাসে যোগদান না নিজে স্বাধীনভাবে পড়াশোনা করা এই দুটির মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়ার শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত কঠিন কাজ। কিন্তু সাফল্যের সঙ্গে স্বপ্নপূরণ করার জন্য দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। UGC-NET পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সঠিক কৌশলগত পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন। কিছু প্রার্থী নিজস্ব পড়াশোনা বা স্ব- অধ্যয়নের মাধ্যমে প্রস্তুতিকে গুরুত্ব দেয়, আবার কেউ কেউ তাদের প্রস্তুতির জন্য একজন পরামর্শক বা গাইড খুঁজে থাকেন। উভয় প্রক্রিয়ারই নিজস্ব কিছু সুবিধা এবং প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
এই আর্টিকেলে পরীক্ষার্থীরা সেলফ স্টাডির ক্ষেত্রে যে ভুলত্রুটিগুলো করে থাকেন সেগুলি নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হবে এবং সেইসঙ্গে আগত বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাগুলিকে অতিক্রম করার কিছু ট্রিকসও দেওয়া থাকবে। তাহলে দেখা যাক UGC NET-এর প্রিপারেশনের ক্ষেত্রে কোচিং ক্লাস ও সেলফ স্টাডির মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে।
পরীক্ষার নাম | UGC NET |
পরিচালিত সংস্থা | ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সি |
পরীক্ষা পুনঃসংঘটিত হয় | বছরে দুবার |
মোড অফ এক্সাম | অনলাইন |
সময়সীমা | ৩ ঘণ্টা |
কী কী ভাষায় প্রশ্ন আসে | ইংরেজি ও হিন্দি |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
UGC NET পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন
আরও পড়ুন– কীভাবে আপনি একজন সফল সহকারী অধ্যাপক হবেন? রইল একটি সংক্ষিপ্ত পথনির্দেশিকা
এখন অবগত হওয়া যাক সেলফ স্টাডি বা স্ব-অধ্যয়নের সুযোগ সুবিধাগুলির সম্পর্কে-
১) কার্যকরীভাবে পড়াশোনা করতে উৎসাহ দান করে – একজন শিক্ষার্থী যখন স্ব-ইচ্ছায় একটি বিষয়কে নিয়ে অন্বেষণ করে, তখন সে সক্রিয়ভাবে সেই বিষয় এবং সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে।
২) কৌতূহল বৃদ্ধি করে- সেলফ স্টাডি শিক্ষার্থীদের বিষয় সংক্রান্ত কৌতূহল বৃদ্ধি করে, তাকে অনুসন্ধানী করে তোলে। বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করার জন্য তারা বিশদে অন্বেষণ করতে থাকে।
৩) আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে– শিক্ষার্থী যখন নিজে অনুসন্ধান করে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিশদে জ্ঞান আহরণ করে তখন তার আত্মবিশ্বাস ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে।
৪) সমস্যা সমাধানের দক্ষতা- শিক্ষাক্ষেত্রে যেকোনো সময়েই নানা রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেলফ স্টাডিতে বিশ্বাসী শিক্ষার্থীরা তাই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অনেকাংশেই দক্ষ হয়ে ওঠে।
৫) সমালোচনামূলক চিন্তা-চেতনার উন্নতি- যখন কেউ নিজে থেকে অধ্যয়ন করে, তখন সে উপাদান সম্পর্কে সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে থাকে এবং নিজের সঙ্গে সেই উপাদানের সংযোগ স্থাপন করতে বাধ্য হয়। যার ফলে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা উন্নততর হয়।
৬) নমনীয়তা– সেলফ স্টাডি বা স্ব-অধ্যয়ন নমনীয়তা প্রদান করে। এটিতে শিক্ষার্থীরা যখন, যেখানে ইচ্ছা অধ্যয়ন করতে পারে, আনুষ্ঠানিক ক্লাসরুমের সীমাবদ্ধতা ও সময়সূচী ছাড়া।
সেলফ স্টাডি বা স্ব-অধ্যয়নের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। সেগুলি সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করা যাক-
১) সঠিক কাঠামোর অভাব– অনেক সময় সেলফ স্টাডির ক্ষেত্রে কাঠামোগত নির্দেশনার অভাব পরিলক্ষিত করা যায়। এটি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে প্রধানতম একটি সমস্যা।
২) ত্রুটিযুক্ত অধ্যয়ন পরিকল্পনা– যেকোনো বড়ো পরীক্ষার জন্যই একটি সংক্ষিপ্ত অধ্যয়ন পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অনেক প্রার্থী এই বিষয়ে ঠিক মতো অবগত না হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ সিলেবাসকে কভার করতে পারে না এবং প্রতিটি বিষয়ে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়ার জন্য সেগুলি তাদের কাছে জটিলতর মনে হতে থাকে।
৩) মিথস্ক্রিয়ার অভাব- স্ব-অধ্যয়ন বা সেলফ স্টাডি করার কারণে সহশিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার অভাব দেখা যায়, তাদের সঙ্গে বিষয় সংক্রান্ত ভাবনার আদান-প্রদান করা সম্ভবপর হয় না। অনেক সময় এটি বড়ো ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
অন্যদিকে তাকালে দেখা যায় একটি কোচিং ক্লাসে যোগদানের অনেক সুবিধা রয়েছে।
কোচিং ক্লাসের কি কি সুবিধা রয়েছে তাই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
১) অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুতি- পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোচিং সেন্টারের সাহায্য নিলে এক বা একাধিক অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নিজের প্রস্তুতিকে আরও সুদৃঢ় করা সম্ভব হয়।
২) নিরন্তর চর্চা– কোচিং ক্লাসে কাঠামোগত বাধ্য বাধকতা থাকায় নিরন্তর পড়াশোনার চর্চার মধ্যে থাকা যায়।
৩) কৌশল বা ট্রিকস– অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে থাকার দরুণ তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের কৌশল বা ট্রিকস শেখা যায়। কঠিন বিষয়গুলি ট্রিকসের মাধ্যমে প্র্যাকটিস করলে তা আরও সহজতর হয়ে ওঠে।
৪) টাইম ম্যানেজমেন্ট- পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে টাইম ম্যানেজমেন্ট জানা অত্যন্ত জরুরি। কোচিং সেন্টারে সময়সারণী মেনে কাজ হওয়ায় বৃহৎ সিলেবাস নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কভার করা যায়।
৫) মকটেস্ট- কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত থেকে নিয়মিত মকটেস্ট দিলে পরীক্ষার ভীতি কেটে যায় সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
৬) পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া- কোচিং সেন্টারে ক্লাস করলে সহপাঠীদের সঙ্গে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া ঘটে, ফলে বিষয়ভিত্তিক ভাবনার আদান-প্রদান হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন– UGC NET পরীক্ষার পরবর্তীতে ক্যারিয়ারের কী সুযোগসুবিধা রয়েছেঃ রইল তারই বিস্তারিত আলোচনা
এখন দেখে নেওয়া যাক কোচিং ক্লাস ও সেলফ স্টাডির মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে-
বিষয় | কোচিং ক্লাস | সেলফ স্টাডি |
খরচ | কোচিং ক্লাসের ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে ভর্তি হয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়। | এক্ষেত্রে কোনো টাকা লাগে না। স্বাধীনভাবে জ্ঞান অন্বেষণ করা যায়। |
নির্দেশনা ও পরিকল্পনা | অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশনা ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়। | সেলফ স্টাডির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে স্ব-উদ্যোগে প্রতিটি বিষয়ের জন্য স্টাডি প্ল্যান বানাতে হয়। নিজে থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে নোটস বানিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। |
সমস্যা সমাধান | কোচিং ক্লাসের সুবিধা এই যে কোনো বিষয় নিয়ে সমস্যা হলে প্রশিক্ষকের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সহজ সরল উপায় সেটির সমাধান করা যায়। | বিষয়ভিত্তিক যেকোনো সমস্যা হলে প্রার্থীকেই বিভিন্ন বই, নথি পড়ে কিংবা অনলাইনে নানা ধরনের সাইটে ভিজিট করে সমাধানের পথ অন্বেষণ করতে হয়। |
উৎসাহ দান | প্রার্থীরা প্রশিক্ষক কিংবা সহপাঠীদের কাছ থেকে পড়াশোনার সংক্রান্ত উৎসাহ পেয়ে থাকে, যা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করে। | সেলফ স্টাডি বা স্ব অধ্যয়নের ক্ষেত্রে নিজেকেই নিজে উৎসাহ প্রদান করতে হয়। কারণ শিক্ষার্থীর পাশে এখানে অন্য কেউ থাকে না উৎসাহ প্রদান করার জন্য। |
প্রগতির পরিমাপ নির্ধারণ | বেশিরভাগ ইনস্টিটিউটেই শিক্ষার্থীর প্রগতি পরিমাপের একটি তালিকা রক্ষণা বেক্ষণ করা হয়ে থাকে। সেখানে শিক্ষার্থীদের কোনো বিষয়ের প্রতি দুর্বলতা থাকলে তা খুব স্পষ্টভাবে বোঝা যায় এবং প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থী সেটিকে ঠিক করার চেষ্টা করে। | স্ব অধ্যয়নে বা সেলফ স্টাডিতে নিজের প্রস্তুতির ওপর সবকিছু নির্ভর করে। প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকে অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়তে হয় প্রতিযোগিতার ময়দানে। |
সময় নির্ধারণ | কোচিং ক্লাসে সাধারণত নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে গোটা সিলেবাসটিকে কভার করে দেবার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। ফলে প্রার্থীদের শুধুমাত্র সেগুলিকে নিয়ে চর্চা করলেই চলে। | নিজস্ব অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে প্রচুর নোটস তৈরি করতে হয়। ফলে অনেক সময় দেখা যায় তারা বৃহৎ সিলেবাসটিকে পুনরায় অনুশীলন করার সময় পায় না। |
UGC-NET-এর প্রস্তুতির জন্য একটি সঠিক কৌশলগত পদ্ধতির প্রয়োজন। পরীক্ষার জন্য বসার আগে, একটি সাধারণ প্রশ্ন যা সর্বদা প্রতিটি প্রার্থীর মনে আসে তা হল তাদের কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে নাকি নিজস্ব-প্রস্তুতিই যথেষ্ট বেশি।
কিছু প্রার্থী সেলফ স্টাডিকে মাধ্যমে প্রস্তুতিকে সহজ মনে করেন, কিছু প্রার্থীদের তাদের প্রস্তুতির জন্য পরামর্শ এবং কৌশলগত গাইড প্রয়োজন। উভয় পদ্ধতির তাদের সুবিধা এবং অসুবিধা আছে।
উপরের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তবে স্ব-অধ্যয়ন বা সেলফ স্টাডি জন্য সেরা।
এক্ষেত্রেও উপরের সব প্রশ্নের উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তাহলে কোচিংয়ে যোগ দেওয়া আপনার জন্য সেরা বিকল্প।
একটি কোচিং সেন্টারে নিজের নাম নথিভুক্ত করার সময়ে বিবেচনা করতে হবে, অনলাইন না অফলাইন ইনস্টিটিউটের মধ্যে কোনটি বেছে নেওয়া বাঞ্ছনীয় তাই নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বের সম্মুখীন হতে পারেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রতিটি বিকল্পের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি যত্ন সহকারে ভেবে দেখা অপরিহার্য। সেইজন্য প্রশ্ন উঠে আসে: কোনটি ভালো হবে – UGC NET অনলাইন কোচিং নাকি অফলাইন কোচিং?
অনেক শিক্ষার্থীই বিভিন্ন কারণে অফলাইন কোচিং পছন্দ করে:
অফলাইন কোচিং উপরে উল্লিখিত সুবিধাগুলি সরবরাহ করে, তবে তারা প্রচুর সময় ব্যয় করে এবং আর UGC NET পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির জন্য সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বস্তু। সিলেবাস শেষ করা হোক বা পরীক্ষার হলে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সব কিছু সীমিত সময়ের মধ্যে করতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইন কোচিং এর সুবিধাগুলোঃ
অফলাইন ইনস্টিটিউট হিসাবে উপরে উল্লিখিত সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি অফার করে প্রচুর নামী অনলাইন কোচিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। BSSEI, Unacademy, এবং Testbook হল শিক্ষাদানের পরীক্ষা, এবং কোচিং এর ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয়। এছাড়াও, তাদের কোর্সগুলি সাশ্রয়ী মূল্যের।
হয়তো আপনি Unacademy এবং Testbook অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মের কথা শুনেছেন, কিন্তু আপনি কি BSSEI সম্পর্কে জানেন? BSSEI হল দ্রুত বর্ধনশীল অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি UGC NET/SET, SLST, TET এবং আরও অনেক বিষয়ে বিস্তারিত কোর্স পেতে পারেন। এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি আপনাকে শেখার সেরা অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
UGC NET এবং অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে, BSSEI হল একটি শীর্ষ-স্তরের কোচিং ইনস্টিটিউট। অমিত কুমার দে-এর তত্ত্বাবধানে 2017 সালের শুরু থেকে, BSSEI ধারাবাহিকভাবে UGC NET, SSC SLST, WB TET, BPSC, বিহার STET, এবং CTET-এর মতো শিক্ষাদান পরীক্ষায় 90% সাফল্যের হার অর্জন করেছে। মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পটভূমির ছাত্ররা যারা পরীক্ষায় সফল হয় এবং তাদের কাঙ্খিত শিক্ষকতার অবস্থান পায় তাদের অধিকাংশই।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
UGC NET পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে সেলফ স্টাডি কি যথেষ্ট?
হ্যাঁ, অবশ্যই। আপনার যদি সিলেবাস সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে কোনো সমস্যা না হয়, নোটস নিজের তৈরি করে স্বাধীন ও সুদৃঢ়ভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন তাহলে আপনার সাফল্য নিশ্চিত।
UGC NET পরীক্ষার জন্য কোচিং ক্লাস কি প্রয়োজনীয়?
না। তবে কোচিং ক্লাসে অনেক সহজতর পদ্ধতিতে UGC NET পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন কৌশল বা ট্রিকস এর মাধ্যমে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলে আপনার সাফল্যের পথ অনেকটাই মসৃণ হবে।
UGC NET পরীক্ষার প্রথম পেপারের জন্য কি কোচিং আবশ্যক?
UGC NET পরীক্ষার প্রথম পেপারের জন্য কোচিং অবশ্যই জরুরি। কারণ অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা যেভাবে গাইড করবেন বা যে সমস্ত ট্রিক্স দেবে তাতে এই বৃহৎ সিলেবাসটি খুব সহজেই কভার করা যাবে এবং সাফল্য অতি সহজেই ধরা দেবে।
স্ব অধ্যয়ন বা সেলফ স্টাডি কি বেশি কার্যকর ?
সেলফ স্টাডি বা স্ব অধ্যয়নের ফলে শিক্ষার্থীকে স্ব-উদ্যোগে প্রতিটি বিষয়ের জন্য স্টাডি প্ল্যান বানাতে হয়। নিজে থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে নোটস বানিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। তাই জন্য তাদের যেকোনো সমস্যা তারা নিজেরাই সমাধান করতে সচেস্ট হয়।
নেটের জন্য দিনে কতক্ষণ অধ্যয়ন করা উচিত?
নেটের বৃহৎ সিলেবাসের দরকার নিবিড় অধ্যয়ন। কারণ এই পরীক্ষায় সব ইউনিটই গুরুত্বপূর্ণ, খুব খুঁটিয়ে পড়তে হয় এবং সেগুলিকে মনে রাখার জন্য সহজ ও সংক্ষিপ্ত নোট বানাতে হবে। সেই সব কিছু কমপ্লিট করতে এক এক জন শিক্ষার্থীর এক এক রকম সময় লাগে।
বছরের শুরুতেই একগুচ্ছ খুশির খবর উপহার দিচ্ছে সরকার। চাকরি প্রার্থীদের...
WBPSC Clerkship 2024-25-এর ছোটো নোটিফিকেশন প্রকাশিত হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক...
পশ্চিমবঙ্গ সরকার বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা নিয়ে থাকে।...
RRB Group D লেভেল ১ পরীক্ষা ভারতীয় রেলওয়ে রিক্রুট্মেন্ট বোর্ড...